ফেসবুকে আমি

Bangla Poem & SMS on Facebook Join here & submit your sms, poems.

**মেগাবাইট সংকট**

  • গ্রামের বাড়িতে এসে গ্রামীণফোন এর P6 নিয়েছিলাম। 1 GB নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কেমনে কেমনে জানি মেগাবাইট শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন কবিতা/এস.এম.এস পোস্ট করতে পারছি না। ১৮ই সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা যাচ্ছি। ইনশেআল্লাহ ১৯সেপ্টেম্বর ২০১০ থেকে মেগাবাইট সমস্যার সমাধান হবে। তখন আবার নতুন উদ্যমে নতুন নতুন কবিতা/এস.এম.এস পোস্ট হবে। আপনাদের সহযোগীতায় আজ আমরা এতদূর এসেছি। সেজন্য Bangla Poem & Sms এর সকল সদস্যদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
  • যাইহোক আবার দেখা হবে। সেই শুভকামনায় বিদায়।
 
লানজু (Admin)
banglarsms.blogspot.com
&
Bangla Poem & Sms (Fan page of banglarsms.blogspot.com)
+8801915799129

তোমার সাজানো ঘর,তোমার আয়না

তোমার সাজানো ঘর,তোমার আয়না
আজ বলে তোমার কথা;
আমি খুজি তোমায় সেথায়
হারিয়েছি তোমায় যেথায়
তবু তোমায় কেন পাইনা?
তুমিও কি ভাবছ আমায়?
জেগে আছ রাত্রি একায়
সবই যে আজ স্মৃতির দোলা
তবুওত তোমায় হল না ভুলা।

অচেনা প্রিয়া

শোন, তুমি কি জান?
তোমাকে ভাল লাগত কারো?

তুমি কি জান?
তোমায় নিয়ে লিখত
কাগজ, কলম সংখ্যা বিহীন
কবিতা কাব্য হাজারো।

তুমি কি জান?
তোমায় সে খুজে বেড়াত
উৎসুক চোখে,
হাজার হাজার সন্ধ্যা তারায়;
নীল আকাশের দূর অজানায়।

আজো তুমি জানলেনা;
তোমার পদচারনায়
কেপে উঠে আমার এ হিয়া,
তুমি জানলেনা,
আমি যে তোমার
হৃদয়ের আড়ালে অচেনা প্রিয়া।


Mahjuba Dipa (১৩ই মে, ২০০৬)

পথ শিশুদের ঈদ

অনেক দিন চোখ বুলানো হয়না
শহরের ব্যস্ত পথগুলোতে;
হয়না দেখা আনমুখ হয়ে
ফুটপাতের ছেলে মেয়ে গুলিকে।

অনেক দিন রিক্সাযোগে
হয়না ঘরে ফেরা;
কেনা হয়না রাস্তা থেকে
কাঁচা বেলি ফুলের মালা।

দেখলাম দুইদিন আগে
বাংলা একটি ব্লগে;
পথশিশুরা মরছে খেটে...
ধূলি বালুময় পথে।

হয়তবা, আমাদের ঈদ হবে
নানান আয়োজনে,
আর ওদের দিনটি কাটবে;
পথে পথে ঘুরে।

আমরা কি পারি না?
ওদের কে নিয়ে ভাবতে?
আনন্দময় একটি ঈদ
ওদের উপহার দিতে?

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর
এই অবস্থা পথ শিশুদের,
“বন্ধ করুন শিশু শ্রম”
এইটাই হোক “রাজনৈতিক ইস্যু”
আমাদের সকলের। 

Mahjuba Dipa

শুধু তোমার জন্য

নির্মুলেন্দু গুণ

কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।
তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে আমি সে কথা বলিনি
সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য
দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম
আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ
‘এই ওঠো,
আমি, আ…মি…।‘
আর অমি এ-কী শুনলাম
এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,
আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।

এবার ঘরে ফেরার পালা

সারাদিন হলো পার
পথে পথে ঘুরে।

ক্লান্ত আমার দুচোখ
মায়াবি প্রকৃতি দেখে দেখে।

দেখেছি আমি ভোরের সূর্য;
প্রজাপতির মেলা।
গ্রাম্য কিশোরীর অবাধ সাতার;
কলসী কাঁধে বধূদের জল তোলা।
দেখেছি আমি শেষ বিকালের সূর্য।

সাদা গাং চিল এর ঘোরাফেরা।
উত্তাল সমুদ্রের শান্ত জলের ঢেউ ঢেউ খেলা করে।
দেখেছি আমি আনমনেই।

ক্লান্ত কৃষানের ঘোরাফেরা;
পৃথিবীর বুকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা।
অবশেষে অবিশ্রান্ত চোখ দুটো
আসে বুঝে দুর্নিবার ঘুম।

অনেক হলো, সাঙ্গ করে সব খেলা
এবার বুঝি আমার ঘরে ফেরার পালা।

আজ আমি সে মায়াবী নই


আজ আমি সে মায়াবী নই
ডাইনীর আয়না সে নেই আজ
ডাইনী মরিয়া গেছে
জাদুর প্রথম কথা, শেষ কথা ভুলে গেছি আমি সব
সামান্য মানুষ হয়ে গেছি। 

-জীবনানন্দ দাশ

কুড়ি বছর পরে


জীবনানন্দ দাস

আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি
আবার বছর কুড়ি পরে-
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে
কার্তিকের মাসে-
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-তখন হলুদ নদী
নরম নরম হয় শর কাশ হোগলায়-মাঠের ভিতরে।

অথবা নাইকো ধান ক্ষেতে আর;
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাসের নীড়ের থেকে খড়
ছড়াতেছে; মনিয়ার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের জল।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি, বছরের পার-
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার।
হয়তো এসেছে চাদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
সরু-সরু কালো-কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের-আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে।

জীবন গিয়েছে চ’লে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার,-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার।

তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে-
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে।
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে-

সোনালি সোনালি চিল-শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে-
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে।

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেদোনাকো ঊড়ে ঊড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে

তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার স্মান চোখ মনে আসে।

পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে
আবার তাহারে কেনো ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুড়ে
বেদনা জাগাতে ভালবাসে।

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেদোনাকো ঊড়ে ঊড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে।

জীবনানন্দ দাশ
মেঘাশ্রম

আবার আসিব ফিরে

জীবনানন্দ দাশ

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠালছায়ায়;
হয়তো বা হাস হব-কিশোরীর-ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;

হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
হয়তো শুনিবে এক লক্ষী পেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে;
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে;
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক শাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙা বায়-রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক: আমারই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে-
Related Posts with Thumbnails