ফেসবুকে আমি

Bangla Poem & SMS on Facebook Join here & submit your sms, poems.

ভুল কে আজ দাও ছুটি...

ভুল কে আজ দাও ছুটি, বিবাদ কে আজ দাও বিদায়।
মনকে আজ শুদ্ধ কর, শত্রুকে আজ বন্ধু কর।
এই সময় এই ক্ষন পাবে তুমি কতক্ষন

আসো তবে হাত মিলাই ,মনের সাথে মন মিলাই,
ভালবাসায় ধন্য হোক জীবন,
শুভ হোক তোমার আমার নববর্ষ ১৪২১

আমি জনম জনম চাইব এমন

আমি জনম জনম চাইব এমন
দিনেরি আগমন, যখন তুমি এসে,
খুলে দিয়ে মনের সব ক’টা বাঁধন
ভরিয়ে তুলবে তারে মুক্তির আশ্বাসে।
চিত্ত জানি বদ্ধ এমন এক আবর্তে
যার থেকে পারবনা বেরোতে বাইরে
যতক্ষণ না পারছি প্রতিজ্ঞা করতে
প্রাণ চায় যারে বরণ করব তারে।


জানি বাধা বিপত্তি আসে সহস্র শত
তবু দমলে চলবে না তার সামনে
কারণ কিছুই নেই প্রণয়ের মত
যা দেয় সুখ সতত শয়নে স্বপনে।
প্রেম ব্যতিরেকে জীবন যায় কি গড়া
নাকি প্রাণের বিকাশ হয় প্রেম ছাড়া।


- অরুণ কারফা

আকাশ এখানে অসীম নীল

আকাশ এখানে অসীম নীল
ডানা মেলে উড়ে যায়, স্বপ্নের গাংচিল
স্নিগ্ধ সকাল তার প্রতীক্ষায়, ক্লান্ত দুপুর থমকে দাঁড়ায়
এই দিগন্ত, চোখের সীমানায়
কেউ কি ডাকে?
নিশ্চুপ গভীর মায়ায়?

কেমন যেন হয়ে আছে আকাশটা

কেমন যেন হয়ে আছে আকাশটা
অনেক স্মৃতি ছিল রং রঙ্গা
হঠাৎ প্রশ্নরা সব পথ হারিয়ে
খুজছে তোমার ঠিকানা।

মেঘকে স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে...

মেঘকে স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে।
ইচ্ছা করে খুব ছুঁয়ে দেখতে।
কেমন হবে? তুলার মত নরম? হাত দিতেই পানি হয়ে গলে গলে পড়বে?
হিম শীতল হবে সেই পানি?

চাই না পাখি হতে।
শুধু চাই একবার,
বার বার না,
ঐ শুভ্রতায় হারাতে।
একটা প্রশ্ন নিয়ে!
মেঘকে কি ধরা যায়?
ধরে রাখা যায়?

অধরা থাকুক এই মেঘ।
থাকুক চোখের সীমানায়,
কল্পনার ভেতরে,
অসীমের ওপারে।

কানে হেডফোন। একটানা বেজে চলেছে পলবাসা সিদ্দিকের গান ...

"এই দিগন্ত, চোখের সীমানায়
কেউ কি ডাকে?
নিশ্চুপ গভীর মায়ায়?"

পুনশ্চঃ
কেউ একজন ডাকছে। ফিস ফিস করে।
গভীর নিশ্চুপ মায়ায়। মেঘের আড়াল থেকে।
শুনতে পাচ্ছি।
আমি পরিস্কার শুনতে পাচ্ছি..

:: কেউ কথা রাখেনি ::

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!

- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

যেদিকে দুচোখ চায়

যেদিকে দুচোখ চায়
শুকনো পাতাই দেখা যায়
তারি মাঝে সোনার সাজে
কয়েক বিন্দু শিশির লাজে
ঘুচিয়ে রাতের কালো
ছড়াচ্ছে খুশীর আলো।

গড়নখানা মুক্তোর মত
তাইতো তৃনকুলও ব্যস্ত
অবনত করতে মাথা,
যা দেখে ভেজা পাতা
এতই সিক্ত ভীষণ
অতিথির মত স্বতস্ফূর্ত
জানাচ্ছে সম্ভাষণ।

এরই মাঝে রবির কিরণ
চমকিত করে শিশিরের নয়ন
ঝলসিত করল পরিবেশ এমন
শিরশির করে উঠল কেঁপে
উত্তুরে হাওয়ার কোমল মন।

- অরুণ কারফা।

ইচ্ছে করে অনেক দূরে

ইচ্ছে করে অনেক দূরে
জনবসতিকে ছেড়ে ছুড়ে
সেই প্রান্তরে যাই,
যেখানে ভরা গাছপালায়
আর সবুজের অবাধ মেলায়
জন মানব বিশেষ নাই।

যেখানে শ্যামল বন

আর তার মন
ছড়িয়ে দিয়ে প্রাণের স্পন্দন
ভরিয়ে তোলে আকাশ বাতাস,
তিরতির করে পাতাগুলো কেঁপে
প্রকৃতিতে দেয় নিজেদের সঁপে
ঝরে পড়ার পূর্বাবধি
এমনই সে বিশ্বাস।

হিসেবের তবু ইচ্ছে জাগে মনে
কি পাব কি দিয়ে বিপণনে
শান্তি আসবে কোলাহলের স্থানে
আর বিশ্বাসঘাতকতা
শব্দটা হবে দুর্লভ,
নগর সভ্যতার আনাচে কানাচে
যে চাকচিক্য ঘুরছে জীবনে
বঞ্চিত হয়ে তা থেকে ক্ষণে
শুধু শোনা যাবে পাখীর কলরব।


- অরুণ কারফা।

ইতিহাস

কংক্রিটের শয্যা থেকে উঠে চোখ মেলে দেখি
চোখ ধাঁধানো সূর্য কিরণ আর মানুষের পায়চারি
বয়স তো অনেক হলো নেই কোন পিছুটান
৭১ এর যুদ্ধে হারিয়েছি আমি আমায়

আজ আমি চেয়ে দেখি চারিদিকে শুধু ধোকাবাজি
জন্মভ্রষ্ট কিছু মানুষের পাপাচিত্তের আস্ফলন

দেখেছিলাম অনাগত অতীত বুক ভরা নতুন এক স্বপ্ন
কল্পনায় তার বাস্তবায়ন দেখিনা তার চিরন্তন রূপায়ন
চিরস্থির ঐ নীল আকাশে লাল রক্তে আঁকা সীমানায়
রুখে দাঁড়াও উগ্র আগ্রাসনের সংবিধানের ইতিহাস

রাজপথে লাখো মানুষের দেখি পদচিহ্ন
ক্ষনিকের বজ্রকন্ঠে ভীত নাগরিক হৃদকম্পন
স্প্লিনটারে ঝাঝড়া আমার এই বক্ষ পিঞ্জর
নিস্তেজ চোখে ভাবি আমি কে দেবে আমায় কবর

আকস্মাৎ দেখি নিজেকে খেতে পাইনি আজ দিন অনেক
দেখি ক্ষুধার দুঃস্বপ্ন পাপাচিত্তের আস্ফলন।


- মালিহা। 

"আজ এসো পথের মোঁড়টাকে একটু ঘুরিয়ে দিই,

"আজ এসো পথের মোঁড়টাকে একটু ঘুরিয়ে দিই,
একদম সন্নিকটে নিয়ে আসি ঐ দিগন্তটাকে...
এক আকাশ নীল আর একমুঠো রোদ্দুরের নেশায়,
চলো আজ অতিক্রম করি দু'জনের এই সীমান্তটাকে... "

হঠাৎ এসেছিলে চোখের আলোতে

হঠাৎ এসেছিলে চোখের আলোতে
হারিয়ে ফেলেছি এক ঝলকে
তবুও তুমি ছিলে চোখের কোণে
আগলে রেখেছি বড় যতনে
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম
চোখের আলোতে এসেছ যখন
ছিলে হৃদয় জুড়ে
প্রতিক্ষণে
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীতে।

এটাই কি প্রণয়ের অনুভূতি
তাই কতটা পথ খুঁজে ফিরে এসেছি
হঠাৎ তোমার ছায়ায় আহ্বান
তাই ভুলে গেছি ছিল যা পিছুটান
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম
চোখের আলোতে এসেছ যখন
ছিলে হৃদয় জুড়ে
প্রতিক্ষণে
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীতে।

মাঝে মাঝে তোমাকে বুঝিনা কেন
তোমায় ঘিরে যে কত বেদনা
এসো না তুমি আঁধার ভুলে আলোতে
জড়িয়ে নেবো মায়ার চাদরে
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম
চোখের আলোতে এসেছ যখন
ছিলে হৃদয় জুড়ে
প্রতিক্ষণে
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীতে।


- তাহসান।

শামসু কোপায়, নাসির কোপায়,

শামসু কোপায়, নাসির কোপায়,
কোপ জানে মাশরাফিও,
কোপে কোপে মাঠ কাঁপিয়ে
জাত আমাদের চিনিয়ে দিও।
এই কোপেতে উঠুক কেঁপে
সব মোড়লের নরম গদি ;
এই কোপেতে গর্বে ফুলুক
বাংলাদেশের হাজার নদী।

- আল বোরহান

শুধু এক প্রতিমা

আমার চোখে তুমি শুধু এক প্রতিমা
যার মিলবেনা কোনও এক উপমা
ভালবাসার কোন সীমানা নেই যার
তাই তো গো তুমি মানস কন্যা আমার।
তোমাকে কখনো কর্দমের তালে গড়ি
কখনো বা চিত্রপটে আবিস্কার করি
যে রূপেই দেখা পাই না তোমার আমি
তোমাতে নিবেদিত বিশিষ্ট অনুগামী।

প্রতি মূহূর্তে তাই তো প্রিয় তিলোত্তমা
ভাঙছ গড়ছ নিজেই নিজের সীমা
উত্তোরত্তর বাড়িয়ে তার উৎকর্ষতা
ছাড়িয়ে যাচ্ছ নিজেরই নিজে উচ্চতা।
তোমায় মোহিত পুরুষেরা তাই ভাবে
কি করে কি ভাবে কখন সান্নিধ্য পাবে।

- অরুণ কারফা

বসন্তে রাঙেনি যে মন,

বসন্তে রাঙেনি যে মন,
তারে কেন ডাক সমাবেশে?
কুয়াশার অস্বছ নদী -তীর ঘেঁষে
হাটুক সে একা একা ;
সবুজের উচ্ছ্বাসে, ফুলের ঘ্রাণে
জাগুক আলোড়ন তোমাদের প্রাণে ;
তার সাথে হোক শুধু শীতের দেখা।

- আল বোরহান

‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ

‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েলপাখি — চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম — বট — কাঠালের — হিজলের — অশখের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল — বট — তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ

দেখেছিল; বেহুলার একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে –
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চরায় –
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিলো — একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিলো ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিলো পায়।’

- জীবনানন্দ দাশ।

ভালবাসার জয়

এত ফুল ফুটেছে তবু
ভালবাসার শেষ নেই
চিন্তিত মালী জল ঢেলে যায়
ঢালত যেমন অতিতেই।

কাঠের স্তূপ জমেই চলেছে
তবু থামার নাম নেই
কাঠুরিয়া কাঠ কেটেই চলেছে
আগের মত গতিতেই।

এ যেন এক প্রতিযোগিতা
কে পায় গাছের চিত্ত
কাঠুরিয়া কাঠ পেলেও অজস্র
মালীই হয় তার মিত্র।

- অরুণ কারফা।

ফুলটাকে ভুল করে ছিঁড়ে

ফুলটাকে ভুল করে ছিঁড়ে
কী করিব জাগে সংশয় ;
তোমার খোপার কালো ভীড়ে
সার্থক তার পরিচয়।
তাই তো সেখানে দেই গুঁজে,
সুবাস ছড়ায় দেখ তার ;
জীবনের মানে পাই খুঁজে -
খুঁজে পাই পথ শুধু সম্ভাবনার।
ফুল আর নারী, নারী আর ফুল।
বার বার আমি যেন করি এই ভুল।

- আল বোরহান

দলের বাক্সে বন্দি করে যারা

দলের বাক্সে বন্দি করে যারা
মহাকাব্যিক জীবন তোমার,
আর যারা পাঁচ বছর পর পর
ধুলো ঝেড়ে পরিষ্কার করে তোমার উপস্থিতি,
তাদের চেতনার বেকারত্বে
মলিন হয় বাংলাদেশের মুখ।
শুভ জন্মদিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

- আল বোরহান

মেঘলা আকাশ ভিশন বিসন্নতা

মেঘলা আকাশ ভিশন বিসন্নতা
আকাশে মেঘ জমা অস্থিরতা
কি ভেবেছি সারা রাত
চাইতে গিয়ে হারিয়েছি সব আজ
আজ আমি একা চারিধর ফাকা
কস্টে পরেছে মন জেনেছি জীবন অন্নরকম....,........,,,........

ভয় পেয়ো না

ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না
সত্যি বলছি কুস্তি ক'রে তোমার সঙ্গে পারব না।
মনটা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগটি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না---
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
এস এস গর্তে এস, বাস ক'রে যাও চারটি দিন,
আদর ক'রে শিকেয় তুলে রাখব তোমায় রাত্রিদিন।
হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাকবে না?
মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমার লাগবে না।
অভয় দিচ্ছি শুনছ না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?
বসলে তোমার মুণ্ডু চেপে বুঝবে তখন কাণ্ডটা!
আমি আছি, গিন্নী আছেন, আছেন আমার নয় ছেলে
সবাই মিলে কামড়ে দেব মিথ্যে অমন ভয় পেলে।


সুকুমার রায়

আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি

আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি
আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--
তুমি জান না,
আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥

সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,
সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--
তুমি জান না, ঢেকে রেখেছি তোমার নাম
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥

তোমার অরূপ মূর্তিখানি
ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।
বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে,
সুদূর দিগন্তে
সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী
গানের তানের সে উন্মাদনে॥♥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আশা ভঙ্গের বেদনায়

আশা ভঙ্গের বেদনায়
কত ঘুসি মেরেছি যে বাতাসের বুকে!
মাছ -মাখা ভাত নাড়িয়েছি বার বার -
ভাতের সে হাত উঠেনি মুখে।
দুঃখ, রাগ, আক্রোশ -ইত্যাদি আবেগের সয়েছি আক্রমন ;
খেলা বাদ দিয়ে দেখেছি কত হারপিকের বিজ্ঞাপণ।
কিন্তু আর না!
এভাবে কাউকে ভালোবাসা যায় না।
শুধু সুদিনে মাতোয়ারা হব আর
দুর্দিনে ফেরাবো মুখ?
এটা ভালোবাসা নয় -
এটা ভালোবাসতে না পারার অসুখ।
জয়, পরাজয় -যাই হোক না
ঘোষণা দিলাম তাই
সারাটি জীবন টাইগারদের
পাশে থাকতে চাই।
শুধু চাওয়া এই
উৎসব যেন দুঃখকে হার মানায়
১৬ কোটি প্রাণ এই ফরিয়াদ উপরওয়ালাকে জানায়।

তোমার জন্য

তোমার চোখে অন্য মানুষ আমি
তোমার জন্য তাই নতুন জীবন খুঁজি ।
তোমার জন্য শীতল স্নিগ্ধ এক ভোর ,
তোমার জন্য খুলি অরুণোদয়ের দোর ।
তোমার জন্য ব্যাথার এক বিনিদ্র নির্মাণ ,
তোমার জন্য সুকোমল চিত্তে উন্মেচিত গান ।
তোমার জন্য হা হা কার করে হৃদয়ের মরুদ্যান ,
তোমার জন্য মেঘ বালিকার অজস্র অভিমান ।
তোমার জন্য হৃদয়ে ভাসমান সাদা - কালো মেঘ ,
তোমার জন্য এই জীবনের অনন্ত বিচ্ছেদ ।
তোমার জন্য বিনিদ্র রাত্রিতে বৃথাই কাব্য লিখা ,
তোমার জন্য সজল চোখে দুরের আকাশ দেখা ।
তোমার জন্য হৃদয়ে বিষাদে উপাখ্যান ,
তোমার জন্য সৃষ্টিময় জীবনের আলো অনির্বাণ ।
তোমার জন্য রাত জাগা একটি পাখি ,
কেন বিনিদ্র হয় তার দুটি আঁখি ??

- রুবিনা মজুমদার ।

এই রঙ ছোড়ানো এই ভুবনে

এই রঙ ছোড়ানো এই ভুবনে
ভাবি আমি আনমনে ...
দূর্বা সবুজ , পাতা সবুজ চির সবুজ বন
তার চেয়ে সবুজ কেন আমার অবুঝ মন ।
ক্ষতি নেই অনাদরে যদি কভু কাঁদি ,
আলেয়াকে আলো ভেবে যদি সুর বাঁধি ।
অস্ত গোধূলির মায়া ...
হয়ে রবে সঙ্গী ছায়া ।

- রুবিনা মজুমদার ।

না বলা কথা

তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়ে
হয়নি অনেক মনের কথা
একটা কথা রয়েছে বাকি
ধীরে ধীরে বাড়লেও ঘনিষ্টতা।

মাঝে মাঝে ভাবি কী লাভ এমন
সম্পর্ককে আরও গভীর করে
যদি বলতেই না পারি মনের কথা
এগোতে না পারি সূত্র ধরে।

আবার মনে হয় কি আছে এমন
ঐ একটা কথার মধ্যিখানে
যা বলতে গেলেই কণ্ঠ রুদ্ধ হয়
খটকা লাগে নিজেরি মনে।

বুঝলাম এরই নাম ভালবাসা
যা বলাও যায়না মুখটা খুলে
অথচ, ঢেড় সময় বয়ে যায়
কাজের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে গেলে।

- অরুণ কারফা।
Related Posts with Thumbnails