ফেসবুকে আমি

Bangla Poem & SMS on Facebook Join here & submit your sms, poems.

তরুনের প্রতি

কোন অভাগা বুকের মাঝে-
পুষছে আজো দীর্ঘশ্বাস?
হাজার রকম দূ:খ ভরা-
মনটা নিয়ে কোথায় যাস?
একটু ভাবিস দূ:খ গুলো শক্তি কোথায় পায়?
তোরই সৃষ্টি হতাশা গুলো তোকেই কুড়ে খায়!
কি লাভ তাতে? যাত্রা শুরুর আগেই যদি তা নাস্তি হয়,
নতুন রকম ভাবলে যদি মনের উপর শাস্তি হয়।
জীবনটা তোর, আর কারো নয়,
কেউ জানেনা শক্তি তোর,
নিজেকে যদি বুঝতে পারিস- কেটেই যাবে মিথ্যে ঘোর।
নানান জনের নানান মতে ঘটবে দ্বিধার আগ্রাসন,
বুঝতে হবে যুঝতে হবে, লক্ষ্য হবে সিংহাসন।
স্বপ্ন যেটা চোখেই ছিল, শিরায় শিরায় ছড়িয়ে যাক,
স্বপ্ন যেন ছোট না হয়, না-ই বা তাতে যুক্তি থাক।
সব কাজেতেই বন্ধু হবে, নিজের উপর আস্থাটা,
যোগ্য পথিক হলেই পরে, খুজবে তোকে রাস্তাটা।
কালবোশেখীর দানবীয় নয়, তেজ যেন হয় সূর্যসম,
প্রতিবাদের ডাক যেন হয় মহাপ্রলয়ের তূর্যসম।

রুসান আহমেদ আবির

পুনরায় ফেরার আগে কি এমন

পুনরায় ফেরার আগে কি এমন
ছোট্ট-ছোট্ট কথা বলার থাকে যে,
তোমাকে বারবার বলতে ইচ্ছে করে
অর্ধেক হৃদয়!হিয়ার ভেতর আমাকেও জাগাও কান্নায়;
হারানো দিনে পুরনো কথাও সন্দেহ জাগায়,
পথে ঘুরিফিরি সহস্র মুখ ভালো লাগে,
ছায়ায় পুনরায় ফেরার আগে তুমি বলো;
সব ছায়া কি আর একসাথে ভালোবাসা যায়?

ঘাসফুল

বছর শেষের ঝরা পাতা বলল উড়ে এসে....

বছর শেষের ঝরা পাতা বলল উড়ে এসে,
একটি বছর পেরিয়ে গেল হাওয়ার সাথে ভেসে;
নতুন বছর আসছে তাকে যতন করে রেখো,
স্বপ্ন গুলো সত্যি করে ভীষণ ভালো থেকো।

**শুভ নববর্ষ**




আফসিদ ইয়ামিন
চেতনায় বাংলাদেশ

নতুনের টানে করো একাকার হে নতুন বৈশাখ...

নতুনের টানে করো একাকার হে নতুন বৈশাখ।
ধুয়ে নাও আজি নিরাশ মলিন ছাপ,
কালবৈশাখীর ছোবলে নাও চৈত্রের খরতাপ।
আকাশে উড়ায়ে শান্তি কপোতের ঝাঁক-
নতুন খামের বার্তা নিয়ে এসো এসো বৈশাখ।
দুর হোক সব অসুন্দর, দুর হোক সব পাঁক হাজার নতুন তরঙ্গে
চির নতুন বৈশাখ এসো এসো বৈশাখ

** শুভ নববর্ষ **




ফুলছবি

হাত ভরতি বকুল....


হাত ভরতি বকুল। হয়তো কারো জন্যে তুলেছে।
নয়তো বা নিজের জন্যই মালা গাথঁবে। আমি বকুল ফুল চাইলাম;
সে মাথা নেড়ে বললো দেবেনা।
ফুল গুলো নিয়ে এক দৌড়ে সে চলে গেল।
মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা বকুল যদি পেতাম আহা!


ঘাসফুল

রাতের তারার মত নি:সঙ্গ আমার প্রেম...


রাতের তারার মত নি:সঙ্গ আমার প্রেম,
তুমিহীনা এই হৃদয় যেন কষ্টের এক ভাঙ্গা ফ্রেম;
আমি তোমার দেয়া ব্যাথা রেখেছি যতনে,
মেনে নিয়ে তোমার সব অভিযোগ, রয়েছি একা;
মাঝে মাঝে কিছু পুরনো সুখের সাথে হয় দেখা,
তবু আমি ভালবাসি শুধু তোমাকেই গোপনে।
মনে নিয়ে তোমার সব অনুরাগ, রয়েছি দূরে;
মাঝে মাঝে কিছু পুরনো স্মৃতি আমাকে যায় পুড়িয়ে।

নিশাচর

নইতো ইদুর নইতো বাদুর,
নইতো পেঁচা কিংবা বিড়াল,
আমি যখন জেগে উঠি সূর্যটা-
হয়ে যায় যে আড়াল ।
সারা রাত্রি জেগে থাকি-
সবার অগোচর, আমি এক নিশাচর।
আধারে আমার চলাফেরা,
আধারে আমার জীবন,
আধার দিয়েই আলোকিত-
আমার রহস্য ভূবন,
আধারে কেউ ভাগ বসালে-
থাকবেনা তার ধর, আমি এক নিশাচর।
প্রেত আত্না সব চামচা আমার
ভূতেরা বস ডাকে,
সব পরীদের বয়ফ্রেন্ড আমি-
ভয়টা পাবো কাকে?
সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াই-
হাওয়ায় করে ভর,

আমি এক নিশাচর।

মুক্তি


আমার কলম আমার তো নেই আমার কথা বলছেনা,
পরাবাস্তব আধারে আমার আলোর মশাল জ্বলছেনা।
কিসের ভয়ে ভীত আমি কোন না পাওয়ায় হতাশ?
কোন পিশাচের ছাই ছায়াতে ধূসর আমার সকাশ।
ঘুমিয়ে আছো কি ও সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, চে?
গনতন্ত্রের ডিকয় ধরে লাঠি ঘোরাচ্ছে কে?
পুঁজ ওঠা এই পুঁজিবাদী দেশ, রাস্ট্রে,বিশ্বে ধর্ম নেই,
ভুড়ি উচিয়েই সর্বকর্মা, ঘাম ঝরানোর মর্ম নেই।
জাতির সংঘে মন্ঞে রংগে নিত্য নতুন নাট্য,
কুশীলবটা যে চির পুরাতন এই কথা অকাট্য।
বংগ জননী ভারত মাতার ষড়যন্ত্রের শিকার,
মাগুর তাড়িয়ে কৈ মাছ খেয়ে বোয়ালের নেই বিকার।
তবুও আমার লেখার কলমে এখোনো কালি শুকায়নি,
আমার চক্ষু দৃষ্টি হারিয়ে কোটরে গিয়ে লুকায়নি।
আমার কানের যান্ত্রিকতায় অনুনাদ হয় চমত্কার,
আমার বিবেক সু্স্থ আজো মানতে তাহলে অমত কার?
কেন এতদিন নীরব ছিলাম পাইনা খুজে যুক্তি।
নিজের সৃষ্ট কারাগার থেকে নিজেকে দিলাম মুক্তি।

শুভকামনা.....


ইচ্ছেগুলোই স্বপ্ন হোক,
স্বপ্ন শোভন সত্যি হোক,
আশার দীপ্তি ছড়াক চোখ-
কাটুক সকল ঝাপসালোক।
ছিন্ন ছায়ার মেঘগুলো,
ধুয়ে নিয়ে যাক ধুলো,
সময়টা হোক বন্ধু তোর-
দেখিস ছুয়ে প্রতিটি ভোর।
দিনগুলো হোক কর্মময়,
রাতগুলো হোক স্বপ্নময়।
অপরিপক্ক চিন্তা যত-
যা কিছু মনে বাড়ায় ক্ষত,
গদ্যে-পদ্যে ম্লান হয়ে যাক,
হতাশাই হোক আশাহত।

মানুষ চাই


দেশের যত দেয়াল লিখন আজকে দারুন জ্বলজ্বলে,
ড্রেনের ধারায় জমাট রক্ত নয়তো তা আর টলটলে।
ওয়ান ফটিফোর ভাসছে বাতাসে শুনছি দূরের কুহক,
আকাশ ভরা কালো ধোয়াশায় বজ্রই আলোর বাহক।
সব শহরের পথের মোরেই মুক্ত ফাসীর কাষ্ঠ,
ডান্ডা খেয়েই ঠান্ডা সবাই ভাবনাগুলোও আরষ্ঠ।
বাড়ির ছাদে উড়ছে ঘুড়ি ঘুড়ির সূতায় মান্জা,
সেই সুতাতে যাচ্ছে ছড়ে সুখ পাখিদের পান্জা।
দেয়ালের গায়ে দাগ হয়ে ঐ মিশেছিল যেন কারারে-
হুংকার দিয়ে বেরিয়ে এল 'শূয়োরের ছাল ছাড়ারে।'
ভূত,প্রেত নাকি পিশাচ এরা একটাও তবু মরেনা,
ধূলি,ধোয়া,মেঘ বিশ্ফোরনেও এদের পলক পরেনা।
এরাই তবে কি বন্ধু দেশের? স্বাধীনতার মুক্তিদাতা?
কোথার আছিস লেজ লুকিয়ে জাতির যত যুক্তিদাতা।
জীবন কি আর কমিক পাতার সুপার হিরোর কাহিনী,
প্রতি আঘাতের প্রতিঘাতেই আসবে ছুটে বাহিনী।
সুপার ডুপার কিংবা বেশি, হিরো পোষার সাধ্য নাই,
দেশের এমন দুঃসময়ে অনেক খাটি মানুষ চাই।


ফাল্গুনে...


সময় আমার যাচ্ছে কেটে-
তার আশায় কাল গুনে,
শেষ দেখাটা হয়েছিল
সেই কবেকার ফাল্গুনে।
চৈত্র বৈশাখ আষাঢ় গেল-
শ্রাবন জুড়েই মেঘলা মন,
ভাদরে-আশ্বিনে আর তো হাসিনে-
সয়না এমন একলা ক্ষন।
কি করব হায়! মানেনা হৃদয়
অভিশাপ দেব কার সনে?
কভু যদি মোরে ভূলটি বোঝে-
আঘাত লাগে তার মনে।
হারালো কোথায় বাড়িয়ে ক্ষত,
আমার কোমল অন্তরে,
খুঁজবো তাকে, কোন শহরে?
কোন বালুচর প্রান্তরে?
নাইবা যদি ফিড়ে সে আবার-
আমার তখন হবে কি?
দুঃখে ঝাঝরা বুকের খাঁচায়-
প্রাণ পাখি আর রবে কি?
আমার জীবন থামিয়ে দেইনি,
তার ভাবনার জাল বুনে,
সে-ই আমাকে নিক না খুজে-
এমনি আরেক ফালগুনে।

রুসান আহমেদ আবির

জোছনা

হে জোছনা, আমায় তুমি উদাস করে দাওনা!
আলোর জোয়ারে মাতাল ঢেউয়ে,
মনটা ভাসিয়ে নাওনা।
ইট পাথরের জন্জালেতে হারিয়ে আমি যাচ্ছিনা,
তবুও আমার চারপাশে কেন প্রাণের ছোয়া পাচ্ছিনা?
জোছনা, আমি তোমার সাথে আকাশ জুড়ে উড়ব,
মন খারাপের বিষয় গুলো আস্তাকুড়ে ছুড়বো।
জোছনা, আমি তোমায় নিয়ে তোমার সাথে থাকব,
বাকি জীবন তোমায় নিয়েই স্বপ্ন ছবি আকব।
ওই শহরে ফিড়বনা বলে তোমার কাছে এসেছি,
জোছনা, আমি জন্ম থেকে তোমায় ভালবেসেছি।

রুসান আহমেদ আবির

ফাঁসি


তওবা হল একটু আগে ঠিক বারোটায় ফাঁসি,
নিরুত্তাপ এই শেষ সময়ে পায়না সবার হাসি।
দেহের মৃত্যু হোক যখনই মনটা মরেছে কবেই,
শেষ ইচ্ছায় বলিনি কিছুই-নেইতো আমি ভবেই।
যমটুপিটা পড়ানো হল আমার নতশিরে,
হারি্য়ে গেল দৃষ্টি আমার অনেক চোখের ভীড়ে।
ফাঁসির মন্চে নেয়া হল হাতটা পেছনে বেধে,
জল্লাদরাও সাবলীল যেন-নিচ্ছে কেমন সেধে।
উপর লেভেলের অনেকেই আছে ফাঁসি যেন মিঠা মধু,
জীবন রক্ষী ডাক্তার সেও মৃত্যু দেখেছে শুধু।
দাঁড়িয়ে আছি ফাঁসির কূপের মিথ্যা পাটাতনে,
গলায় জড়ানো ম্যানিলা রোপের স্পর্শটা চনমনে।
লিভার টানার সংকেত দেয়া লাল রুমালের গায়,
আমার নামটি লেখা আছে তা- নেমে এল মেঝেটায়।
সরে গেল সেই মিথ্যা কপাট! আটকে গেল ফাঁস!
শেষ নয় যেন শুরু হল সবে, বেঁচে থাকবার আশ।
দশ ফুটের এই সরু কূপটা অসীমের মত লাগে,
কোথায় ছিলাম? কোথায় যাচ্ছি?
ভৈরব, না বেহাগে?
হঠাত কঠিন হ্যাঁচকা টানে শুষুম্নাকান্ড ছিড়ে,
যন্ত্রনাতে কাতর তখন-চেতনা আমার ফিড়ে।
কোথায় সেই কূপ বিভীষন? কোথায় গলার ফাঁসি?
খোলা জানালার মুক্ত হাওয়ায় যাচ্ছে দেহ ভাসি।
আমার ঘরেই করছি আমি সুখের নিদ্রা যাপন,
মাত্র দেখা দু:স্বপ্নটা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঁপন।
অনুভব করি গলায় এখনো একটা ফাঁস যে আছেই,
ফাঁস লাগানো জল্লাদটাও আছে খুব কাছে কাছেই।
এমন সুখের ফাঁস যে লাগালো করে দেই তারে ক্ষমা,
বড় ভালবেসে জড়িয়ে রয়েছে, ঘুমন্ত প্রিয়তমা।

স্বপ্নের অপেক্ষা


অপেক্ষায় দিন চলে যায়,রাত পোহায়
অপেক্ষা নতুন কিছুর জন্য
অপেক্ষায় চোখের নিদ্রা সুদূরে পালায়
অপেক্ষা নতুন দিনের জন্য

ঘন অন্ধকার থেকে আলোতে আসার সময়
বহুদূরে সুদিন তোমার পানে চেয়ে রয়
একাকী এ পথ মনে হয় ফুরাবার নয়
সব মঙ্গল চাওয়া যদি একবার সত্যি হয়!

সপ্ন শুধু সপ্নই থেকে যায়
নিঝুম রাতের কান্না হঠাৎ থেমে যায়
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে নতুন কামনায় দিন শুরু হয়
দিগন্তের ঐ সীমানায় মন হারাতে চায়

এখনও প্রতীক্ষা নতুন কিছুর জন্য
মনের এই চাওয়া পূর্ণ হয়ে আনুক পুণ্য

তোমায় ছাড়া


আমি আজও তোমার প্রতীক্ষায় বসে আছি
আমার সময় আজও স্থির হয়ে আছে সে মূহুর্তের জন্য,
হৃদয়ের সরনির বাকেঁ বাকেঁ আজও খুঁজি তোমায়
তোমার আশায় থেকে থেকে হয়ে যাই আমি বন্য।

রাতের আধাঁরের মিষ্টি আভা এখনও আছে আগের মত
এখনও রুদ্র তাপে দিনের আলোয় সূর্য উঠে,
এখনও সব ঠিক সেরকমই আছে যে রকম আগে ছিল
শুধু তুমি নেই,তুমি ছাড়া সব বিষণ্ণ হয়ে উঠে।

বিষাদের সুর মনে বেজে উঠে
বারবার এই হৃদয়ের রাজত্ব ভেঙে চুরে যায়;
শূণ্য এই মনের জানালা দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়
একটুকু শান্তির পরশ এই মন পেতে চায়।

আজও তোমার প্রতি নিবেদন ফিরে এসো
আমায় ক্ষমা করে দিয়ে কাছে থেকো।

শারিফ শাব্বির

Related Posts with Thumbnails