ফেসবুকে আমি

Bangla Poem & SMS on Facebook Join here & submit your sms, poems.

আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে তোমায়...

আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড় তোমায়।
হৃদয়ের নীল ক্যানভাসে ছবি আঁকি তোমার।
বিশাদের নীলে ভালোবাসা দিলে রূপালী আলোর জোস্নায়।
নির্ঘুম রাত জেগে রই, বিরহ ভাবনায়।
পূর্ণিমা চাঁদ ডেকে যায়, কালো মেঘের সীমানায়।
এই রাত জাগা, স্বপ্ন দেখা সবই তোমারি ভাবনায়।
আকাশের শুকতারাটা যখনি্ উকি দিয়ে যায়,
কি করে বলি কতটা ভালোবাসি তোমায়।
তোমাকে নিয়ে সুখেরই ভেলা ভাসাব আমি দরিয়ায়...

যদি যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়ে...

যদি যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়ে কোন বন্ধু না পাও,
যদি ভাঙ্গনের শব্দ শুনে ভয় পাও,
যদি নীল আকাশ, কালো হতে দেখো,
ভালোবাসার অনাবৃষ্টিতে কষ্ট পাও,
যদি না পাওয়ার ব্যার্থতায় হৃদয় চৌচির হয়ে যায়,
যদি প্র্রলয়ের দিনে বৈশাখী শ্রাবণে উপলব্ধি কর আমায়,
যদি ঘন বরষায় তোমার নদী শুকিয়ে যায়,
যদি কখনো না পাওয়ার বেদনা তোমায় কষ্ট দেয়,
যদি কখনো কারো কথায় মন ভেঙ্গে যায়, তবে
স্মরণ করো আমায়। আমাকে পাশে পাবে বন্ধু সে সময়।।

আমার সকালটা বিবর্ণ পড়ে থাকে...

আমার সকালটা বিবর্ণ পড়ে থাকে চুপচাপ,
জানালায় দোয়েলের ডাককে তেমন মধুর মনে হয় না,
বইয়ের পাতা উল্টানোর কষ্টটাও ভীষন কাহিল করে ফেলে,
কোথাও কোন সবুজ দেখিনা, কেবল ধূসর মনে হয় সবকিছু।
মনে হয় আমি যেন ঝরা পাতা, মরে আছি,
পড়ে আছি। কারন আমার প্রিয় মানুষটা আমাকে জড়িয়ে ধরে নয়,
হাতে হাত রেখেও নয়, এমনকি কানের কাছে মুখ এনেও ফিসফির করে বলেনি-
আমি তোমাকে ভালবাসি প্রিয়, ভালবাসি, ভালবাসি।।

যদি ভুলে যাওয়ার একটা সুইচ থাকতো...

যদি ভুলে যাওয়ার একটা সুইচ থাকতো,
তাহলে আমি টুক করে সেই সুইচটা অফ করে দিয়ে
সব কিছু ভুলে যেতাম।

স্বপ্ন গড়া আর স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার মধ্যে...

স্বপ্ন গড়া আর স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার মধ্যে একটা ভাঙ্গাগড়ার সুখ থাকে।
প্রত্যাশা আর প্রত্যাখ্যানের মধ্যে একটা ছন্দ থাকে।
কিন্তু যার স্বপ্ন একেবারে ভেঙ্গে যায়, তার কী হয় রে,
বেঁচে থাকার সত্ব সে কোথায় পায়?

কারো জন্য আমি রোদ্দুরের কাছে বাজিতে হেরেছি...

কারো জন্য আমি রোদ্দুরের কাছে বাজিতে হেরেছি আজ,
সে বোঝেনি। আমার অভিমানের মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে,
তবু সে আসেনি। এমন ভুলো মন তার!
কষ্টে কষ্টে ভিজে যাই আমি আমার কষ্টমুখরে।
এই মন-খারাপ করা নির্জন রাতে একবারও সে ভালবাসেনি বলে।।

কেউ একজন আমার হাতটা ধরো...

কেউ একজন আমার হাতটা ধরো,
কপালে রাখো, হাত রাখো গালে-চিবুকে,
দেখো আমি আমার প্রিয়ার বিরহে কেমন পুড়ছি।।

সে হবে একজন বোধের অংশীদার...

সে হবে একজন বোধের অংশীদার,
যার মুখ চেয়ে আগলানো যায় সমস্ত জীবন।
যার হাতে হাত রেখে হওয়া যায় সাহসী কোন স্বপ্নচারী,
যাকে মনে হয় আশ্রয়, চিরকালীন আশ্রয়,
বাবুই পাখির বাসার মতো রহস্যময় স্বপ্নগাঁথা আশ্রয়।।

বেশির ভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা...

বেশির ভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে-
সে আসলে যার উপর রাগ করে, তাকে কিছু বলতে পারে না।
রাগটা প্রকাশ করে নিতান্তই নিরীহ কিছু জিনিসের উপর।।

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই ভুল করে...

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই ভুল করে এবং সে আবার
একদিন ফিরেও আসে নিজের জায়গায়। আসতে তাকে হয়।
যদিও প্রত্যাবর্তনের পথে প্রত্যেকেরই কষ্টগুলোর একটা অতীত থাকে।
তবু....। কারন মানুষ সবকিছু থেকে পালাতে পারে,
কেবল পারে না নিজের কাছ থেকে পালাতে।।

জীবন ভালবাসার গান...

জীবন ভালবাসার গান, সবাইকে এটা গাইতে হয়।
জীবন দু:খের সাগর, পার হতে হয় এটা হাসি মুখে।
জীবন একটা অনুভব, ভেঙ্গে যাওয়া মনের আশা।
জীবন একটা নির্বাসন, যা কাটাতে হয় সবাইকে।
জীবন অবুঝ, কী হয়েছে তাতে? কী হয়েছে আপনজন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে?
কী হয়েছে সে হাতে আজ হাতখানি না থাকায়? জীবন একটা
হাসি, কষ্টের কোন পরিচয়। জীবন একটা অতিথি, যাকে একদিন বলতে হবে বিদায়...।

তোমাকে যে ঘৃণা করে, দু:খ দেয়...

তোমাকে যে ঘৃণা করে, দু:খ দেয়, কষ্ট দেয়
সেতো তোমাকে একদিন ভালও বেসেছিল, তুমি
সে ভালবাসাটা মনে রাখো আর সারাক্ষন ভাবো-
কেউ একজন ভালবেসেছিল তোমায়, প্রাণ দিয়ে
ভালবেসেছিল, মন দিয়ে ভালবেসেছিল,তার
সমস্ত অস্তিত্ব ভালবেসেছিল। ভাবো, দেখবে সুখী
হবে, মানুষের নীচুতা মনে রাখতে নেই,
তার গুনগুলো মনে রেখো।।

অনন্ত বিরহ চাই, ভালবেসে কার্পন্য শিখিনি...

অনন্ত বিরহ চাই, ভালবেসে কার্পন্য শিখিনি।
তোমার উপেক্ষা পেলে অনায়াসে ভুলে যেতে পারি
সমস্ত বোধের উৎস গ্রাস করা প্রেম; যদি চাও,
ভুলে যাবো, তুমি শুধু কাছে এসে উপেক্ষা দেখাও...।।

তোমাকে স্পর্শ করতে গিয়েও কতবার যে আমি...

তোমাকে স্পর্শ করতে গিয়েও কতবার যে আমি
গুটিয়ে নিয়েছি হাত, সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।।
তোমাকে আমার ভালবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে বলিনি, সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।।
আমার ঈশ্বর জানেন, আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য,
তারপর ঐ ঈশ্বরের মত কোন-একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য, শুধুই তোমার জন্য।।

তোমার প্রেমের স্পর্শ...

তোমার প্রেমের স্পর্শ
গ্রহন করেছি বুকে-পিঠে,
যেমন অগ্নির দাহ
চুল্লিতে, চিমনীতে পোড়া ইটে।।

হে প্রিয়তম...

হে প্রিয়তম-
বসন্তের দিনে আকাশ এমন মেঘলা কেন?
আকাশ কি আমার মনের কথা বুঝে ফেললো?
তা কি করে হয়?
আমার যে কি কষ্ট তাতো আমি নিজেই জানি না;
আকাশ কি করে জানবে?

এই পৃথিবীতে চোখের জলের মত...

এই পৃথিবীতে চোখের জলের মত
পবিত্র তো আর কিছু নেই,
এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি
সব মালিন্য কেটে যায়।।

যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক...

যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছো
আমার হৃদয়খানিতে।।

স্বপ্নে...

সুন্দর, তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে
অরুণবরন পারিজাত লয়ে হাতে।
নিদ্রিত পুরী, পথিক ছিল না পথে,
একা চলি গেলে তোমার সোনার রথে-
বারেক থামিয়া, মোর বাতায়নপানে
চেয়েছিলে তব করুণ নয়নপাতে।।

স্বপন আমার ভরেছিল কোন গন্ধে,
ঘরের আঁধার কেঁপেছিল কী আনন্দে,
ধুলায়-লুটানো নীরব আমার বীণা
বেজে উঠেছিল অনাহত কী আঘাতে।।

কতবার আমি ভেবেছিনু, 'উঠি উঠি,
আলস ত্যজিয়া পথে বাহিরাই ছুটি।'
উঠিনু যখন তখন গিয়েছ চলে-
দেখা বুঝি আর হল না তোমার সাথে।।

তিনধরিয়া ১৭ জ্যৈষ্ঠ্ ১৩১৭

কৃপন...

আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম গ্রামের পথে পথে,
তুমি তখন চলেছিলে তোমার স্বর্ণরথে।
অপূর্ব এক স্বপ্নসম লাগতেছিল চক্ষে মম-
কী বিচিত্র শোভা তোমার কী বিচিত্র সাজ।
আমি মনে ভাবতেছিলেম এ কোন্‌ মহারাজ্।।

আমি শুভক্ষনে রাত পোহালো, ভেবেছিলাম তবে
আজ আমারে দ্বারে দ্বারে ফিরতে নাহি হবে।
বাহির হতে নাহি হতে কাহার দেখা পেলেম পথে,
চলিতে রথ ধনধান্য ছড়াবে দুই ধারে-
মুঠা মুঠা কুড়িয়ে নেব, নেব ভারে ভারে।।

দেখি সহসা রথ থেকে গেল আমার কাছে এসে,
আমার মুখ-পানে চেয়ে নামলে তুমি হেসে।
দেখে মুখের প্রসন্নতা জুড়িয়ে গেল সকল ব্যাথা,
হেনকালে কিসের লাগি তুমি অকস্মাৎ
‌‍'‌আমায় কিছু দাও গো' বলে বাড়িয়ে দিলে হাত।।

মরি, এ কী কথা রাজাধিরাজ, 'আমায় দাও গো কিছু'-
শুনে ক্ষণকালের তরে রইনু মাথা-নিচু।
তোমার কিবা অভাব আছে ভিখারি ভিক্ষুকের কাছে!
এ কেবল কৌতুকের বশে আমার প্রবঞ্চনা।
ঝুলি হাতে দিলেম তুলে একটি ছোটো কণা।।

যবে পাত্রখানি ঘরে এনে উজাড় করি-একি,
ভিক্ষা-মাঝে একটি ছোট সোনার কণা দেখি!
দিলেম যা রাজ-ভিখারির স্বর্ণ হয়ে এল ফিরে-
তখন কাদি চোখের জলে দুটি নয়ন ভ'রে,
তোমায় কেন দিই নি আমার সকল শূন্য করে?।

কলিকাতা ৮ চৈত্র [১৩১২]

জন্ম জন্মান্তরে আমি ...

জন্ম জন্মান্তরে সঞ্চিত আমি, আমার ভালোবাসা
সব তোমাকে দিলাম
যত্ন করে রেখো
বুক পকেটে কিংবা মানিব্যাগে, যেখানে খুশী-
শুধু খেয়াল রেখো, জীবনের যানবাহনে
ভাড়া মেটাতে গিয়ে
আমাকে যেন হারিয়ে ফেলনা...।।

সম্ভব হলে কিছু শিউলী দিও...

সম্ভব হলে কিছু শিউলী দিও
যত্ন করে রাখবো;
আর না হয় নিদেন পক্ষে
ধোতরা ফুল দিও
খেয়ে তোমার পাগল হব।।

সে আমায় ভালোবাসার পায়নি অবসর...

সে আমায় ভালোবাসার পায়নি অবসর
তবু আমি তারে ভালোবেসেছি, কাছে এসেছি,
আর সেই কিনা হঠাৎ একদিন বললো আমায়
আমার সর্বস্ব দিয়ে চাই, শুধু তোমায়।।

তোমাকে ছুতে গিয়ে যদি...

তোমাকে ছুতে গিয়ে যদি
আমি এসে যাই মৃত্যুর কাছাকাছি তবে
জীবনের নীল খামে
আমার সমস্ত ভালোবাসা
উইল করে যাবো তোমার নামে।।

প্রহর শেষে আলোয় রাঙা সেদিন...

প্রহর শেষে আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখেই দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।

হয়তো সহজ কাছে আসা...

হয়তো সহজ কাছে আসা,
তাই কাছে আসি।
হয়তো সহজ ভালোবাসা,
তাই ভালোবাসি।
যখন সহজে কিছু পাই,
ভাবি হয়তো সহজ ছিল পাওয়া।
যখন হারাই ভাবি-হায়
এতো সহজ চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ।।

মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট...

মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে
মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু সে যেতে পারে না।
তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও
সে ভালমত জানে না।।

মাকড়সার জালের ন্যায়...

মাকড়সার জালের ন্যায় কষ্টেরা আমাকে আকড়ে ধরেছে
রূপকথা নয়, সত্যি
কাহিনী নয়, বাস্তব
আমার অপরাধ,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।।

আমি তুচ্ছ...!

আমি তুচ্ছ!
তোমার অসীম সুন্দরের কাছে আমি তুচ্ছ!
নিতান্তই অবহেলিত একটি খড়কুটো।

কিন্তু-
আমার ভালোবাসার কাছে তুমি....?
গভীর সাগরের মাঝে একবিন্দু লোনা জল,
অসীম আকাশের মাছে এক চিলতে মেঘ।।

ভালোবাসার সংজ্ঞা...

রফিক আজাদ

ভালোবাসা মানে দু'জনের পাগলামি,
পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা।
ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া,
বিরহ বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি।
ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি,
খুব করে ঝুঁকে থাকা।
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা,
ভিতরে-বাহিরে দু'জনের হেঁটে যাওয়া।
ভালোবাসা মানে ঠান্ডা কফির পেয়ালা সামনে,
অবিরাম কথা বলা।
ভালোবাসা মানে শেষ হয়ে যাওয়া কথার পরেও,
মুখোমুখি বসে থাকা।।

আমি যেন বলি আর ...

আমি যেন বলি আর তুমি যেন শোন,
জীবন জীবনে তার শেষ নেই কোন।
দিনের আলো, আর কত রাত চন্দ্রাবতি
আলো হয়, মেঘ হয় কথা যাই বলি।


লেখক: অজ্ঞাত। বাংলা এস.এম.এস এর ওয়ালে পোষ্টটি করেছেন
নাজমুল রাজিব

তোর জন্য আনতে পারি...

তোর জন্য আনতে পারি আকাশ থেকে তারা,
তুই বললে বাচতে পারি অক্সিজেন ছাড়া।
পৃথিবী থেকে লুটাতে পারি বন্ধু তোরি পায়,
এবার তুই বল, এভাবে আর কত মিথ্যা বলা যায়!!!

তোর ইচ্ছাগুলো উড়ে বেড়াক...

তোর ইচ্ছাগুলো উড়ে বেড়াক পাখনা দুটি মেলে,
দিনগুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে।
অপূর্ণ না থাকে যেন তোর কোন সুখ,
এই কামনায় ঈদ মোবারক।

এস.এম.এস করলাম সেন্ড...

এস.এম.এস করলাম সেন্ড প্রিয়ার নাম্বারটাতে,
এস.এম.এস পড়ল গিয়ে প্রিয়ার বাবার হাতে।
কপাল খারাপ হলে বুঝি কত কিছুই যে হয়,
প্রিয়ার বাবা মোবাইলে দেখায় শুধু ভয়।
এক এস.এম.এস এ লেগে গেল জিলাপির প্যাচ,
তাইতো এখন করি না মোবাইল এস.এম.এস।

কি দিন আইছে রে...

কি দিন আইছে রে, বাতাস বইতেছে,
পাখি গান গাইতেছে,গরু ঘাস খাইতেছে,
জিনিয়াসরা এস.এম.এস করতাছে,
আর বলদেরা এস.এম.এস পড়তাছে।

মনে আছে সেই দিনের কথা...

মনে আছে সেই দিনের কথা, ঝিরি ঝিরি হাওয়া বইছিলো, ট্রেন প্লাটফর্মে দাড়াল,
তুমি আমায় দেখলে, আমি একটা ক্লোজ আপ মার্কা হাসি দিলাম,
তুমি গুটি পায়ে কাছে এলে আর বললে...
আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দেনগো মা!!!

নয়ন

মনে না ভরে, চোখ না জুড়ায় তোমার নয়ন দেখে,
যখন, তখন বসে পড়ি চোখ বন্ধ করে;
শুধু তোমায় দেখব বলে।
মনের ভিতর আকছি আমি তোমার দেখা ছবি,
তাই তো আমি সুযোগ পেলে কলম নিয়ে বসি।

লিখছি আমি তোমার কথা সারা ডায়েরী ভরে,
ইচ্ছা হলে দিও দেখা এই জনম এর নীড়ে;
মনে না ভরে, চোখ না জুড়ায় তোমার নয়ন দেখে।


মীর ইকবাল হোসেন (তুষার)

মিস কল দিয়ো না...

মিস কল দিয়ো না, দিও তুমি কল
লাইন কেটে দিয়া করবো আমিই কল;
যদি থাকে হাতে সময় বলো রাতে কথা,
কেচ্ছায়,কেচ্ছায় ভুলিয়ে দেব তোমার সকল ব্যাথা।


মীর ইকবাল হোসেন (তুষার)

ঈদ আনে বস্তা ভর্তি খুশি...

ঈদ আনে বস্তা ভর্তি খুশি,
তাই তুমি খেয়ো পেট পুরে পোলাও আর খাশি।
তাই বলে ঈদ কখনো হবে না বেশি,
ঈদ মোবারক।


মীর ইকবাল হোসেন (তুষার)

এখনো তোমাকে ভাবলে...

এখনো তোমাকে ভাবলে আমার বুকের মাঝখানে কালবৈশাখীর ঝড় উঠে।
এখনো সুনামি আমার পুথিবীর ধ্বঙসের তান্ডব নিত্য চলে।
এখনো সিডর মৃতু খেলায় মেতে উঠে।

পা রেখেছ কার ঘরে, মন রেখেছ কই?...

পা রেখেছ কার ঘরে, মন রেখেছ কই?
ভালবাসার সাথে যাবে কোথায় পাবে মই?
হাত রেখেছ কলিং বেলে,
বেল টিপছ কার?
খুজছ যাকে মনে মনে
নাম জান কি তার?

কষ্ট হলে গভীর রাতে...

কষ্ট হলে গভীর রাতে মাথা রেখো চাঁদের কোলে।
বেশি কষ্ট হলে চোখ রেখো তারার চোখে।
কষ্ট রেখো না বুকের মাঝে, পাঠিয়ে দিও আমার কাছে।

তুমি আমার আধার দিয়ে...

তুমি আমার আধার দিয়ে নিজেকে আলোকিত করেছ।
কিন্তু জেনে রেখো আলোতেই আধারের ছায়া পড়ে।

বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে...

বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে একা আমি আছি শুয়ে।
পৃথিবী ঘুমায়, মানুষেরও ঘুম পায়।
আমার কেন ঘুম পায় না?

মনের মায়া এত মায়া...

মনের মায়া এত মায়া
কোথা থেকে আসে।
কোন আশাতে জীবনের নাও
মাঝ নদীতে ভাসে?
বাহিব কি করে।

রাত হলে, রাত গভীর হলে...

রাত হলে, রাত গভীর হলে তোমায় মনে পড়ে,
ভীষন মনে পড়ে।
শব্দের পাখিরা ঘুমিয়ে গেলে চারপাশে কেবল শূন্যতা।
নক্ষত্ররাও ঘুমিয়ে গেল, নিশ্চিত নিরবতায়,
তোমায় মনে পড়ে, ভীষন মনে পড়ে।

আমি জানি আমি কখনো তোমায় পাব না...

আমি জানি আমি কখনো তোমায় পাব না!
এটাই আমার জীবনের ধ্রুব সত্য।
শুধু একটা কথা দাও,
একদিন দু’জনে হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজবে;
আর আমার কিছু চাওয়ার নেই।

অসীম্ আধার জন্ম দিয়েছে আমার...

অসীম্ আধার জন্ম দিয়েছে আমার,
তাই ভয় নেই আধারের।
আমি কোন অতীত চাইনা, চাইনা বর্তমান, তাই ভবিষ্যৎ বলেও কিছু নেই।
আমার আছে শুধু মহাকাল।

প্রতিটি ভোর, প্রতিটি ক্ষন...

প্রতিটি ভোর, প্রতিটি ক্ষন, তুমি ছিলে আমার হৃদয়েতে।
হয়নি পাওয়া যা ছিল চাওয়া, শুধু মিথ্যা আশায় বেচে থাকা।
মানে না এই মন তুমি হিনা।
মনে কি পড়েনা আমাকে...
করেছি যত ভুল, অবহেলা,
দিয়েছি যত কষ্ট, ব্যাথা জ্বালা;
দু’হাতে সব স্মৃতিগুলো দূরে
ঠেলে এই মনে ফিরে আসো।
নি:স্ব আমায় বড় একা করে চলে গেছ তুমি বহুদূরে,
সঙ্গী হারা কোন পাখির মত, মন আমার শুধু কেদে মরে।
মানেনা এই মন তুমি হিনা ...
মনে কি পড়ে না আমায়... ?? বলো না-

আজো বৃষ্টিতে ভিজি আমি...

আজো বৃষ্টিতে ভিজি আমি,
আজো দমকা বাতাস্ আমায় এলোমেলো করে,
আজো বৃষ্টির মাঝে আমি তোমার স্পর্শ অনুভব করি,
আজো আমি তোমার নি:শ্বাসের শব্দ শুনতে পাই,
আজো অঝর ধারায় যখন বৃষ্টি নামে,
আমি কদম ফুল হাতে তোমার প্রতিক্ষায় দাড়িয়ে থাকি,
জানি তুমি আসবে না... তবু ...

ফিরিয়ে তুমি দেবে কি আমায়?...

ফিরিয়ে তুমি দেবে কি আমায়? কখনো যদি তোমাকে শুধাই?
যাবে কি অদূরে চলে তুমি? যদি ভালোবাসি বলি তোমায়?
আমারি স্পর্শে কি তোমার হৃদয়ে বৃষ্টি কখনো হয়?
না বলোনা কিছুই তুমি, যদি ভালোবাসি বলি তোমায়।
আমি চাই শুধু তোমার হতে। তোমার নি:শ্বাসে, বিশ্বাসে।
আমার সব কিছু তোমার হাতে। চাইলেই নিতে পার প্রাণ আমার।
একাকী নি:সঙ্গ জীবন; তোমারি করে নেবে কি আপন!
তোমারি পাশে মনেরি আকাশে রেখো আমায় আপন করে।
আর তো কিছু চাই না আমি।

দিন ঘুরব পথে পথে...

দিন ঘুরব পথে পথে রাতে খাব হাওয়া,
বলুক সবাই এই ছেলেটা প্রেমের বড়ি খাওয়া।
তোমার প্রেমে হাবুডুবু ভুলি নাওয়া খাওয়া,
প্রেমে পড়ে মনে হল বোকা বনে যাওয়া।

তোমার প্রেমে একটু বোকা হলাম না হয় আজকে....

তোমার প্রেমে একটু বোকা হলাম না হয় আজকে,
কে দেখেছে আমার মত তোমার মনের ভাজকে।

আলো নিভে দিন ফুরালে...

আলো নিভে দিন ফুরালে,
এমনতো কোন কথা নেই,
জোনাকী প্রদীপ হয়ে জ্বেলে দিয়ে যায় তিমির রাতের মুখে,
তেমন প্রদীপ হয়ে তুমি আজ জ্বলে যাও না ...!!!

নখের নীচে রেখে ছিলাম...

নখের নীচে রেখে ছিলাম তোমার জন্য প্রেম,
কাটতে কাটতে সব খোয়ালাম বললে নাকো শ্যাম।
এইতো আমি তোমার ভূমি, ভালোবাসার নালা,
আঙ্গুল ধরো, লাঙল চাষো পুরাও প্রণয় মেলা।

কোথায় তুমি, বদ্ধ দুয়ার...

কোথায় তুমি, বদ্ধ দুয়ার, দুয়ার খোল।
কোথায় আমার স্বপ্নগুলো?
পথের মধ্যে পথ হারাল!
ভালোবাসার দিক দিগন্ত কোথায় পাব বলতে পারো?
কোথায় গেলে পাব ফিরে, হারানো সেই ঘরের ছবি।

একা একা প্রহরগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়...

একা একা প্রহরগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়,
অজস্র শ্রাবণ ঝরে চোখেরই তারায়।
এখনো কি তন্দ্রা হারা রাত কেটে যায়,
ক্লান্ত চোখের কোনে স্বপ্ন লুকায়।
এখনো আগুন লাগা ফাগুনো বেলায়,
ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে যায়।
নীর্জনে অভিমানে এখনো যে হায়,
নীরবে নীরলে একা দিন কেটে যায়।
শিশিরের ঝড়ে পড়া কিনাররি সুর,
এখনো কি বুকে বাজে বেদনা বিধুর?
জীবন কেন এত রঙ বদলায়?
ভুলগুলো তবু কেন নীরবে কাঁদায়!
ফেলে আসা দিন সেকি ফিরে পাওয়া যায়?

আজ রাতে তুমি জেগে থেকো...

আজ রাতে তুমি জেগে থেকো,
তোমার নীরব নিদ্রা যেন আমাকে ফিরে যেতে বাধ্য না করে।
তোমার স্পর্শ নিত আমি আসছি।
তুমি জেগে থেকো।
আমার কাছে তোমার সূর্যদয় আছে।

যদি কখনো...

যদি কখনো
মেঘবতি হয়ে আমার হৃদয়ে
উড়ে আসে ঝড়ো বাতাসে
আকাশের বুকে ভেসে যাওয়া
সাদা মেঘ এক রাশি
তার কাছে গিয়ে
একটু ভয়ে...
বলবো ভালোবাসি।।

আগুন আর কতটুকু পুড়ে...

আগুন আর কতটুকু পুড়ে?
সীমাবদ্ধ কার ক্ষয়, সীমিত বিনাশ।
মানুষের মত আর অতো নয়, আগুনের সোনালী সন্ত্রাস।
আগুন পুড়ালে তবু কিছু রাখে, কিছু থাকে
হোকনা তা ধূসর শ্যামল রং ছাই।
মানুষ পুড়ালে কিছুই রাখে না,
কিছুই থাকে না, খা খা বিরান;
আমার কিছুই নেই।

বেচে আছি, বাচার জন্য বেচে আছি...

বেচে আছি, বাচার জন্য বেচে আছি,
খাচ্ছি, দাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, আর কি?
ভুলে গেছি কিভাবে ভালোবাসতে হয়,
আমি তা একেবারেই ভুলে গেছি।
তোমার হাতের স্পর্শ এখন আর মনে জাগে না,
জাগেনা কোন ছন্দ।
তোমার বুকে যে আগুন দেখেছিলাম এখন আর সে আগুনে পুড়ে মরার লোভ হয় না।
বেচে আছি, মৃত্যুর জন্য বেচে আছি।

তোর হাত দু’টি ধরব বলে বাড়িয়ে দিলাম হাত...

তোর হাত দু’টি ধরব বলে বাড়িয়ে দিলাম হাত,
হাতটা ছুয়ে বললি তুই এই নে নির্ঘুম রাত।
এখন আমার রাত কাটে না একলা জেগে থাকি;
সারারাত বসে থাকি হাত ছুটে যায় যদি।

জল পড়ে, পাতা নড়ে...

জল পড়ে, পাতা নড়ে, তুমি যেন নড়না,
তুমি আবার আমার হবে ভুলেও তা ভাবি না।
এই বেশ ভালো আছি সব যেন আমার,
আমার ভাবনা আমারই থাক, তোমার ভাবনা তোমার।

বৃষ্টির জন্য বসে আছি...

বৃষ্টির জন্য বসে আছি; বৃষ্টির পখ চেয়ে আছি।
আজ বৃষ্টি নামবে।
আকাশ ভেঙে প্রবল বৃষ্টি নামবে আজ।
আকাশে মেঘ, বাতাসে স্তব্ধতা।
আমার আকাঙ্খা বৃষ্টি হয়ে তুমি আসবে।

আমি তোমার জীবনে এক টুকরো...

আমি তোমার জীবনে এক টুকরো কালো মেঘ।
শীতল ছায়া হতে পারি নি,
শুধু বৃষ্টি হয়েই ঝরেছি দু’নদীর কূল ছোয়া অবিরত।

ইদানিং আমার খুব জোক হতে ইচ্ছা করে...

ইদানিং আমার খুব জোক হতে ইচ্ছা করে।
ইচ্ছা করে রক্ত পিপাসু জোকের মত তোমার পা জড়িয়ে থাকি প্রতিটি মূহুর্ত।
দেখো একদিন আমি জোক হব,
পরজন্মে আমি একটা জোক হব।

তুমি কি আসবে...

তুমি কি আসবে?
পথ ভোলা নদীর দেশে,
ঢেউয়ে, ঢেউয়ে ভাসব হৃদয়ে,
হব দু’জন সাথী।
তুমি কি নীল মেঘে ঢাকা আকাশে ঝড় তোলা ভোরে,
আমারি মন ভাঙা ঘরে রোদেলা দিনে ফাগুন হবে?
তুমি কি দেবে বাবুই পাখির ঠোঠে ঠোটে বোনা সুখের বসতী?

তুমি নেই তাই তোমার জন্য...

তুমি নেই তাই তোমার জন্য দহন সারাবেলা,
তুমি নাই তাই নিজের প্রতি নিজের অবহেলা।
তুমি নাই তাই স্বপ্নের সাথে হয় না আর দেখা,
তুমি নাই তাই এ জীবনে হব একা।

ভালোবাসা পেতে আমার চেয়ে থাকা...

ভালোবাসা পেতে আমার চেয়ে থাকা।
স্বপ্ন বুনতে আমার রাত জাগা।
বিবর্ণ অতীত ফিরে আমার চারপাশে,
ধূসর রঙে ছবি আকা।

শোনবনা কোন আর মন ভাঙ্গা গান...

শোনবনা কোন আর মন ভাঙ্গা গান,
চাইবনা ভালোবাসার প্রতিদান।
সব জ্বালা বুকে সয়ে সব কিছু ভুলে গিয়ে
হৃদয়টা বেধে নেব।

সত্যি বল তবে আসবে তুমি...

সত্যি বল তবে আসবে তুমি,
স্বপ্নে নাকি কল্পনাতে এ জীবনের রংয়ের পরশ লাগিয়ে দিয়ে
অনেক হাসি হাসবে তুমি?
একটু ভালোবাসবে তুমি?

তুমি সুখী হলে এই আমি দূরে রব...

তুমি সুখী হলে এই আমি দূরে রব।
ভেবোনা না মিছে বিরহ চিরদিন দু:খ পাব।
হৃদয় কতনা রঙয়ের স্বপ্ন দেখে যায়।
বলো তার সব কি সত্যি হয়?
দু’চোখে যদি নামে অকারন শ্রাবণ
ভেবে নেবে সব কিছু ভাগ্যের লিখন।
স্মৃতি যদি হয়ে যায় বেদনা,
পিছু ফিরে আমি আর যাব না।

মন...

তুমি মান কি না মান, এ মন তোমাকে চায়,
এক পদ্ম ফুটেছে এক পুকুর পনে;
শিউলি, বকুল, শাপলা ও ফুটেছে সকালে।
তাই তুমি কি না ফুটে পারো?
তাই তুমিও ফুটেছো আমার এ অবুঝ মনে।
শিউলি বকুল পদ্ম হয়তো ঝরে যাবে কোন দিন,
কিন্তু তুমি ঝরবে না, কারন তুমি আছো আমার অবুঝ মনে।

তুমি মান কি না মান, এ মন তোমাকে চায়,
যেমনি লাইলী চেয়েছিল তার মজনু কে,
শিরি চেয়েছিল তার ফরহাদ কে,
ঠিক তেমনি আমিও কি চাইতে পারি না তোমাকে?
তুমি মান কি না মান, এ মন তোমাকে চায়।

মীর ইকবাল হোসেন (তুষার)

কখনো তুমি অচেনা পথিক...

কখনো তুমি অচেনা পথিক পথ হারিয়ে পথ খুজে পাও;
কখনোবা তুমি তুষার আগুন একা একা শুধু নিজেকে পোড়াও।
যতই আঘাত দিয়ে যাওনা তুমি, যতই দূরে সরে যাই না আমি;
ভাললাগে শুধু যে তোমায়, ভালবাসি শুধু যে তোমায়।

আমি কি করি কি করি...

আমি কি করি কি করি কোন দিকে যাই, কোন পথে হারাই।
রক্ত প্রবাহে শ্লোগান উঠেছে তোমাকে তোমাকে চাই।

নির্ঘুম রাত কাটে আমার...

নির্ঘুম রাত কাটে আমার, পথ হারা পথে দিশা খুজি।
রাতের আধারে জোসনা খুজি।
জোনাকি মধ্যে ভরে দু'চোখ বুজি।
নিশ্চুপ রাতে স্বপ্ন খুজি, স্বপ্ন আকি, স্বপ্ন উড়াই,
চোখের জলে অবুঝ মনে হারাই শূন্যে অবিরত।

মাঝে মাঝে মন বসেনা কাজে...

মাঝে মাঝে মন বসেনা কাজে। তুমি কি তখন দিতে পার একটু ছোঁয়া ভালোবাসার?
তুমি কি তখন বলতে পার তুমি আমার, তুমি আমার ...
তেমনি যদি হয়ে যায় এ মন।
বুকের কাছে জড়িয়ে রেখে একটি সুযোগ দিবে কি আমায় তোমাকে ছুয়ে একটু কাদার...!?

দু:খকে আমি নিয়েছি যে আপন করে...

দু:খকে আমি নিয়েছি যে আপন করে,
সুখের দেখা মিলেনি কোথাও;
সুখের সাথে সন্ধি তোমার,
তুমি না এলে সুখ নেই আমার এ জীবনে।

এখন গোধূলী সময়...

এখন গোধূলী সময় মন যেন কিছু চায়!
চলনা পাখি হয়ে উড়াল দেই অজানায়।

নীশি গভীর হয় চোখের পাতা...

নীশি গভীর হয় চোখের পাতা এক হয় না... হয়না..
তুমি কাছে নেই বলে দু'চোখে নিদ্রা যায় না।
বিনিদ্র রজনী রই তোমার কারন...
এ নীশি তুমি বীনা পূর্ণতা পায়না, পায়না...

হারিয়ে যাব যেদিন আমি ...

হারিয়ে যাব যেদিন আমি,
পরবে আমায় মনে,
একফোটা জল আসতে দিও তোমার চোখের কোনে।

সেদিন তুমি যতই ডাক আমায় দেব না'ক সাড়া,
হয়ে যাব নীল আকাশের ছোট্ট একটা তারা।

কোথায় তুমি, বদ্ধ দুয়ার...

কোথায় তুমি, বদ্ধ দুয়ার, দুয়ার খোল।
কোথায় আমার স্বপ্নগুলো?
পথের মধ্যে পথ হারাল?

ভালোবাসার দিক দিগন্ত কোথায় পাব বলতে পারো?
কোথায় গেলে পাব ফিরে হারানো সেই ঘরের ছবি।

নীল যদি হয় বেদনার রং...

নীল যদি হয় বেদনার রং
তবে আকাশ সব চাইতে দু:খী।

ভালোবাসা যদি মাপা হয় গভীরতা দিয়ে
তবে সাগর সব চেয়ে সুখী।

রাত পোহালে আমার আকাশ....

রাত পোহালে আমার আকাশ দেখা যাবে মেঘে
তাই তো আমি ঘুমাই নি আজ এখনো আছি জেগে।

ভাবছি আমি এমন রাতে আর কখনো থাকবে আমার সাথে?
কষ্ট পেলে আমার হাত আগের মত জড়াবে কি হাতে?

জানি আমি তুমি আমার নও তো অন্য কারো
সবি হয়তো মিথ্যা সত্যি তবু দেখি তোমায় নিয়ে মিথ্যা স্বপ্ন আরো...

অনন্ত ওই আকাশের বুকে...

অনন্ত ওই আকাশের বুকে আমি আজ দিলাম লিখে,
আমার ভালোবাসার সাতকাহন।

বন্ধু প্রিয়, তুমি বুঝে নিও, এই হৃদয়ের না বলা কথন।
আমার ভালোবাসার সাতকাহন।

আকাশের আজ অনেক দু:খ...

আকাশের আজ অনেক দু:খ, তোমার আছে?
অবিরাম ভিজতে থাকা মাধবী লতা, তুমি নেবে?
আকাশের জন্মানো অনেক ভেজা সুভ্রতা, তুমি চাও?
বৃষ্টির ভেতর নির্বাক মেঘের শরীর, তুমি দেখো?
আমার প্রিয় বৃষ্টির দিন, ভীষণ এলোমেলো, তোমারও কি তাই?

জীবনটা ধর সাগর...

জীবনটা ধর সাগর, আর হৃদয় তার তীর।
বন্ধু হলো সাগরের ঢেউ।
তোমার সাগরে অনেক ঢেউ থাকতে পারে
তবে ব্যাপার হল সবগুলো ঢেউ কি তীর স্পর্শ করতে পারে?

কতটা পথ পেরোলে...

কতটা পথ পেরোলে তোমার পথের দেখা পাব?
কতটা দু:খ পেলে তোমার জোগ্য বল আমি হব?
প্রশ্ন পাঠালাম তোমার ঠিকানায়।

এতকাল সামান্য দেখায় তৃপ্ত হয়েছি...

এতকাল সামান্য দেখায় তৃপ্ত হয়েছি।
আজ পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের শাখা প্রশাখার মত
আমার ক্ষুধার ডালপালা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ সম্পূর্ণ তোমাকে চাই।
সম্পূর্ণ চাই।।
Related Posts with Thumbnails