ফেসবুকে আমি

Bangla Poem & SMS on Facebook Join here & submit your sms, poems.

পাথরকে প্রশ্ন করেছি...


পাথরকে প্রশ্ন করেছি, তুমি কি কখনো কাঁদো?
পাথর আমাকে বলল- মানুষ যখন পাথর হয়, সেই কি তখন কাঁদে?
 
গোধূলী আফরিন বৃষ্টি

স্বাধীনতা তুমি, শামসুর রহমান

স্বাধীনতা তুমি
শামসুর রহমান



স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান|
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা –
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা|
স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল
স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি|
স্বাধীনতা তুমি
রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার|
স্বাধীনতা তুমি
মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী|
স্বাধীনতা তুমি
অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক|
স্বাধীনতা তুমি
বটের ছায়ায় তরুন মেধাবী শিক্ষার্থীর
শাণিত-কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ|
স্বাধীনতা তুমি
চা-খানা আর মাঠে ময়দানে ঝড়ো সংলাপ।
স্বাধীনতা তুমি
কালবোশেখীর দিগন্ত জোড়া মত্ত ঝাপটা|
স্বাধীনতা তুমি
শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন
স্বাধীনতা তুমি
উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন|
স্বাধীনতা তুমি
বোনের হাতের নরম পাতায় মেহেদীর রঙ|
স্বাধীনতা তুমি
বন্ধুর হাতে তারার মতন জলজলে এক রাঙা পোষ্টার|
স্বাধীনতা তুমি
গৃহিনীর ঘন খোলা কালোচুল,
হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম|
স্বাধীনতা তুমি
খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা
খুকীর অমন তুলতুলে গালে
রৌঙের খেলা|
স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা|

দূরাশার মৃত্যু

দূরাশার মৃত্যু
সুকান্ত ভট্টাচার্য্য


দ্বারে মৃত্যু,
বনে বনে লেগেছে জোয়ার,
পিছনে কি পথ নেই আর?
আমাদের এই পলায়ন
জেনেছে মরণ,
অনুগামী ধূর্ত পিছে পিছে,
প্রস্খানের চেষ্টা হল মিছে।

দাবানল!
ব্যর্থ হল শুষ্ক অশ্রু জল,
বেনামী কৌশল
জেনেছে যে আরণ্যক প্রাণী
তাই শেষে নির্মূল বনানী।

পাঞ্জেরি, ফররুখ আহমেদ

পাঞ্জেরি
ফররুখ আহমেদ

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে
কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?
এ কী ঘন-সিয়া জিন্দেগানীর বা’ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা’ব
অস্ফুট হয়ে ক্রমে ডুবে যায় জীবনের জয়ভেরী।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
বন্দরে বসে যাত্রীরা দিন গোনে,
বুঝি মৌসুমী হাওয়ায় মোদের জাহাজের ধ্বনি শোনে,
বুঝি কুয়াশায়, জোছনা- মায়ায় জাহাজের পাল দেখে।
আহা, পেরেশান মুসাফির দল।
দরিয়া কিনারে জাগে তক্দিরে
নিরাশায় ছবি এঁকে!
পথহারা এই দরিয়া- সোঁতারা ঘুরে
চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন দূরে?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
একাকী রাতের গান জুলমাত হেরি!

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে,
আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি
দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।
মোদের খেলায় ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
কেটেছে তাদের দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।
সওদাগরের দল মাঝে মোরা ওঠায়েছি আহাজারি,
ঘরে ঘরে ওঠে ক্রন্দনধ্বনি আওয়াজ শুনছি তারি।
ওকি বাতাসের হাহাকার,- ও কি
রোনাজারি ক্ষুধিতের!
ও কি দরিয়ার গর্জন,- ও কি বেদনা মজলুমের!
ও কি ধাতুর পাঁজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী।

পাঞ্জেরি!
জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,
জাগো অগণন ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি হেরি!
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরি, কত দেরি!!

ফেরীঅলা, হেলাল হাফিজ

কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট।

লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট,
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট।

ঘরের কষ্ট পরের কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট,
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট।

প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট,
ভুল রমণী ভালোবাসার
ভুল নেতাদের জনসভার
হাইড্রোজেনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট।

দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট
পথের এবং পায়ের কষ্ট
অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট।

আর কে দেবে আমি ছাড়া
আসল শোভন কষ্ট,
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন
আমার মত ক’জনের আর
সব হয়েছে নষ্ট,
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।

বনলতা সেন

বনলতা সেন
জীবনানন্দ দাস


হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি আরো দূর অকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমার দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন|
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙ্গে যে – নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি - দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তা’রে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন|

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌঙের গন্ধমুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে–সব নদী ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন|

ছড়া - ১০

সন্ধেবেলায় বন্ধুঘরে
জুটল চুপিচুপি
গোপেন্দ্র মুস্তুফি।
রাত্রে যখন ফিরল ঘরে
সবাই দেখে তারিফ করে,-
পাগড়িতে তার জুতোজোড়া,
পায়ে রঙ্গিন টুপি।
এই উপদেশ দিতে এল-
সব করা চাই এলোমেলো,
'মাথায় পায়ে রাখব না ভেদ'-
চেঁচিয়ে বলে গুপি।

ছড়া - ৯

মুরগি পাখির 'পরে
অন্তরে টান তার,
জীবে তার দয়া আছে
এই তো প্রমাণ তার।
বিড়াল চাতুরী করে
পাছে পাখি নেয় ধরে
এই ভয়ে সেই দিকে
সদা আছে কান তার -
শেয়ালের খলতায়
ব্যথা পায় প্রাণ তার।

ছড়া - ৭

মুচকে হাসে অতুল খুড়ো
কানে কলম গোঁজা।
চোখ টিপে সে বললে হঠাৎ
"পড়তে হবে মোজা।"
হাসল ভজা, হাসল নবাই,
"ভারি মজা" ভাবল সবাই,
ঘরসুদ্ধ উঠল হেসে,
কারণ যায় না বোঝা।

ছড়া - ৮

কালুর খাবার শখ সব চেয়ে পিষ্টকে।
গৃহিণী গড়েছে যেন চিনি মেখে ইষ্টকে।
পুড়ে সে হয়েছে কালো,
মুখে কালু বলে "ভালো"
মনে মনে খোটা দেয় দগ্ধ অদৃষ্টকে।
কলিক-ব্যথায় ডাকে ক্রুসে-বেঁধা খ্রীস্টকে।

ছড়া - ৫

কাঁচড়াপাড়াতে এক
ছিল রাজপুত্তর,
রাজকন্যারে লিখে
পায় না সে উত্তর।
টিকিটের দাম দিয়ে
রাজ্য বিকাবে কি এ,
রেগেমেগে শেষকালে
বলে ওঠে - দুত্তোর!
ডাকবাবুটিকে দিল
মুখে ডালকুত্তোর।

ছড়া - ৬

ইতিহাস বিশারদ গণেশ ধুরন্ধর
ইজারা নিয়েছে একা বম্বাই বন্দর।
নিয়ে সাতজন জেলে
দেখে মাপকাঠি ফেজে
সাগরমন্থনে কোথা উঠেছিল চন্দর,
কোথা ডুব দিয়ে আছে ডানাকাটা মন্দর।

ছড়া - ৪

পাখিওয়ালা বলে, 'এটা
কালোরঙ চন্দনা।'
পানুলাল হালদার
বলে 'আমি অন্ধ না-
কাক ওটা নিশ্চিত,
হরিনাম ঠোঁটে নাই।'
পাখিওয়ালা বলে, 'বুলি
ভালো করে ফোটে নাই -
পারে না বলিতে বাবা,
কাকা নামে বন্দনা।'

ছড়া - ৩

দুকানে ফুটিয়ে দিয়ে
কাঁকড়ার দাঁড়া
বর বলে,'কান দুটো
ধীরে ধীরে নাড়া।'
বউ দেখে আয়নায়,
জাপানে কি চায়নায়
হাজার হাজার আছে
মেছনীর পাড়া -
কোথাও ঘটেনি কানে
এত বড়ো ফাঁড়া।

ছড়া - ২

পাঠশালে হাই তোলে
মতিলাল নন্দী
বলে, 'পাঠ এগোয় না
যত কেন মন দি'।
শেষকালে একদিন
গেল চড়ি টঙায়,
পাতাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
ভাসালো মা-গঙ্গায়;
সমাস এগিয়ে গেল,
ভেসে গেল সন্ধি;
পাঠ এগোবার তরে
এই তার ফন্দি।

ছড়া - ১

ক্ষান্তবুড়ির দিদিশাশুড়ির
পাঁচ বোন থাকে কালনায়,
শাড়িগুলো তারা উনুনে বিছায়,
হাঁড়িগুলো রাখে আলনায়।
কোনো দোষ পাছে ধরে নিন্দুকে
নিজে থাকে তারা লোহাসিন্দুকে,
টাকাকড়িগুলো হাওয়া খাবে বলে
রেখে দেয় খোলা জানলায় -
নুন দিয়ে তারা ছাঁচিপান সাজে
চুন দেয় তারা ডালনায়।

ভালোবাসি তোমায়...

ভালোবাসি তোমায়
সত্যি কি মিথ্যা
জানি না;
ভালোবাসি তোমায়
পাব কি পাব না
তা নিয়ে ভাবি না;
ভালোবাসি তোমায়
হৃদয় জানে
তুমি জান না;
ভালোবাসি তোমায়
নীল আকাশে তুমি
তোমায় ছোঁয়া যায় না;
ভালোবাসি তোমায়
ছায়া হয়ে থেকো তুমি
কী পারবে না???


রাজিব ভূইয়া

বৈশাখী ঝড় আসবে যেদিন....

বৈশাখী ঝড় আসবে যেদিন,
ভিজতে আমি যাব সেদিন;
বৃষ্টি ভেজা মোর পরানে জাগবে কবিতা নতুন করে
নতুন কবির কবিতা হতে রাখবে কি হাত আমার হাতে???

মাঈন উদ্দিন

ভালোবাসি তোমাকে...

"ভালোবাসি তোমাকে" মুখ ফুটে কি বলতে হয়
এটুকু যদি নাই বুঝ; কীসের এত অভিনয়?
না হয় আজ বলেই দিলাম-
ভালোবাসি তোমায়, শুধুই তোমায়।।

এক মুঠো স্বপ্ন দিলাম, নিজের মত গড়িয়ে নিও...

এক মুঠো স্বপ্ন দিলাম, নিজের মত গড়িয়ে নিও;
এক মুঠো ভালোবাসা দিলাম, যত্ন করে রেখো;
এক মুঠো কষ্ট দিলাম, বেদনায় নীল হয়ে যেও;
এক ফুটো বৃষ্টি দিলাম, মনটাকে ভিজিয়ে নিও;
এক মুঠো রঙ দিলাম, পৃথিবীটাকে সাজিয়ে নিও;
এক মুঠো বাতাস দিলাম, দীর্ঘ নি:শ্বাস নিও;
এক মুঠো রঙধনু দিলাম, মনটাকে রাঙিয়ে নিও।

যদি কখনো হারিয়ে যাই...

যদি আমি হরিয়ে যাই কখনো,
খুজে ফের তুমি আমায়;
জোসনার অই নীল চাদরে,
আকাশের তারার ভীড়ে;
আমি যাব না অতদূর,
যেখানে তোমার ছায়া নেই, যেখানে তোমার অস্তিত্ব নেই।

প্রদীপ হয়ে ছড়াব আলো তোমার নীরব সম্মতিতে...

প্রদীপ হয়ে ছড়াব আলো তোমার নীরব সম্মতিতে,
বাতাস হয়ে ছড়াব ফুল, তোমার রাতের আঙিনাতে।

তুমি ভরিয়েছ এ মন এক নিঝুম অরণ্যে...

তুমি ভরিয়েছ এ মন এক নিঝুম অরণ্যে,
বসন্তের পাহাড় চূড়া আর বৃষ্টি দিয়ে,
মরুভূমির ঝড়ে আর ঘুমন্ত সাগরে,
তুমি ভরে দাও এ মন ফিরে এসে।

ভ্রমর হয়ে গুনগুনিয়ে কভু...

ভ্রমর হয়ে গুনগুনিয়ে কভু গান আমার শোনাব,
জোনাকি হয়ে রাতের আঁধারে আলো শুধু ছড়াব।

জানিনা সেদিন কি আসবে আবার....

জানিনা সেদিন কি আসবে আবার জীবনে আমার,
হাজার ফুলের রঙিন জলসায় ডাকবে কি সুখ পাখি বারে বার।
স্বপ্ন ভেসে যায় এখনো কতনা রাত্রি,
খালি মন যেন অজানা পথের যাত্রী।
হারানো অতীত দেয় যে শুধু একরাশ হাহাকার,
অশ্রু ভেজা চোখ কেবলি রয়েছে আশায়;
বেদনায় মন কাদে হারানো ভালোবাসায়,
স্মৃতির রেখায় পাই যে খুজে শুধু অন্ধকার।

যতদূরে যাবে যাও...

যতদূরে যাবে যাও রুখবনা তোমায়,
মন থেকে মুছে দাও এ ছবি আমার;
তবু তোমার অগোচরে কোন স্নিগ্ধ ভোরে
আলো হয়ে মিশে যাব
তোমার চোখেতে আমি...

তুমি কি ভুলিয়ে দিবে (Update)...

তুমি কি ভুলিয়ে দেবে বিষন্নতার গান,
বুকের মাঝে বসে থাকা অচেনা পাশাণ;
তুমি কি ভুলিয়ে দেবে নষ্ট একটা দিন,
অবসরে ধূলায় মাখা মুখটা রঙিন;
তোমায় ভেবে ভাবনাগুলো উড়ে যেতে চায়,
নীল আকাশের ভীষণ নীলে দূর নীলিমায়।

তুমি কি ভুলিয়ে দিবে...

তুমি কি ভুলিয়ে দিবে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়া,
পিছু ডাকা স্মৃতিগুলোর শুধু ভাঙ্গা গড়া;
তুমি কি ভুলিয়ে দেবে কষ্টমাখা মুখ,
ভালোবেসে ডেকে আনা বিপন্ন সে সুখ। 

তোমায় ভেবে ভাবনাগুলো উড়ে যেতে চায়...

তোমায় ভেবে ভাবনাগুলো উড়ে যেতে চায়,
নীল আকাশের ভীষণ নীলে, দূর নীলিমায়।

সব আলো নিভে যাক আঁধারে

সব আলো নিভে যাক আঁধারে,
শুধু জেগে থাক অই দূরের তারারা;
সব শব্দ থেমে যাক নি:স্তব্ধতায়,
শুধু জেগে থাক এই সাগর আমার পাশে;
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়,
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে।

Related Posts with Thumbnails